রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫

আপনারা যারা রাজশাহী জেলার মধ্যে অবস্থান করছেন তাদের সকলের সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ জানা প্রয়োজন।দেখতে না দেখতে আবারো রমজান মাস চলে এসেছে। এই মাস সঠিক নিয়মে আল্লাহকে রাজি খুশি করার গুরুত্বপূর্ণ কিছুদিন রয়েছে।

আমরা সবাই জানি এই রমজান মাসে আল্লাহতালা অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। বান্দাদের জন্য ভাগ করা হয়। প্রথম ১০ দিন রহমতের রোজা মাঝখানের ১০ দিন মাগফিরাতের রোজা শেষের ১০ নাজাতের রোজা ।আজকের এই ব্লগে রমজান মাসেরইবাদতের সকল বিষয়গুলি তুলে ধরার চেষ্টা করব।

রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা সবাই জানতে পারবেন রাজশাহী রাজশাহী ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার জন্য পবিত্র রমজান মাস ১৪৪৬ হিজরি ২০২৫ সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি। যেখানে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে ০২ মার্চ রোজ রবিবার সেহরির শেষ সময় ছিল ভোর ৫ঃ০৬ মিনিট ফজরের আজান ৫ঃ১২মিনিট এবং ইফতারের শেষ সময় ছিল৬ঃ১১ মিনিট। নিচে সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি বিস্তারিতভাবে দেওয়া হল।

রমজান মাস ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র ও ফজিলতপূর্ণ মাস। আল্লাহতালা প্রত্যেক মানুষকে ইবাদত করার জন্য এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।পবিত্র মাহে রমজান ইসলাম ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ মাস ।সঠিক সময়ে রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ এর তথ্য পারবেন।ইসলামে মুসলমানের পাঁচটি ফরজ ফরজ ইবাদতের মধ্যে রোজার গুরুত্ব অপরসিম। এ মাসে মানুষ রোজা রাখে নামাজ পড়ে কুরআন তেলাওয়াত করে। এই মাসেই পবিত্র কোরআন শরীফ নাযিল হয়েছিল। হে ঈমানদারগণ! তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হয়েছে যেমন ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর, যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো।

এই মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে মুসলমানরা আত্মশুদ্ধি তাকওয়া (আল্লাহভীতি) এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি অর্জন করেন। রমজান মাসে রোজা রাখার ফজিলত কুরআন ও হাদিসে ব্যাপকভাবে বর্ণিত হয়েছে।রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন যে ব্যক্তি ঈমানের সহকারে রমজান মাসের রোজা রাখে তার পূর্ববর্তী সব গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।রোজাদার ব্যক্তি গুনাহ থেকে দূরে থাকেন। রমজান মাসে রোজা রাখার মাধ্যমে মুসলমানরা আধ্যাত্মিক শান্তি ও আল্লাহর রহমত লাভ করেন।রোজা আত্মসংযম ও নৈতিক উন্নতির প্রশিক্ষণের মাস।

রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ জেনে রোজা পালন করলে রোজা সম্পূর্ণ হবে।তাই সঠিক নিয়মে রোজা পালন করতে হলে কিছু আমল ও করণীয় বিষয়ে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। সাহরি খাওয়া রোজার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহরি খাওয়ার প্রতি উৎসাহিত করেছেন। সাহরি শেষ করার সময় সুবহে সাদিকের আগেই শেষ করতে হবে।ইফতারের সময় তাড়াতাড়ি করা এবং মাগরিবের আজান শোনার পরপরই ইফতার করা সুন্নত। খেজুর বা পানি দিয়ে ইফতার শুরু করা উত্তম। রোজার দিনে সকল প্রকার গুনাহ থেকে দূরে থাকা উচিত । সঠিক নিয়মে রোজার আমল করলে আল্লহ খুশি হন নিচে এর আমল ও করণীয় আলোচনা করা হল ।

রোজা রেখে সঠিক নিয়মে সেহরি ও ইফতার করা। সব সময় আল্লাহর কাছ থেকে বিরত থাকা। এই মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়া। এ মাসে বেশি ইবাদত করলে আল্লাহ তাআলা খুশি হন। সেহরি খাওয়া থেকে শুরু করে সারাদিন ইবাদতের মধ্যে থাকা ভালো। ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে ইফতার করলে অনেক সওয়াব হয়। এ এই মাসে আমাদের পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল হয়েছে। তাই বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা ভালো। আমরা চেষ্টা করবো কোরআন শরীফ খতম দেয়ার। কোরআন তেলাওয়াতের পাশাপাশি তারাবির নামাজ পড়বো। এ মাসের গরিব মানুষদের দান করব। গরিব মানুষদের যাকাত দিব সাহায্যও করব। সম্ভব হলে ইফতারের আয়োজন করব। রমজান মাসে বেশি বেশি দোয়া করব। এই মাসে আল্লাহতালা মানুষের দোয়া কবুল করে থাকেন।

বিশেষ করে যাদের আত্মীয়-স্বজন কবরে আছে তাদের জন্য যদি দোয়া করা হয় । তাহলে আল্লাহতালা কবুল করেন এবং অবশেষে তাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করেন। এছাড়াও বেশি বেশি জিকিরের মাধ্যমে আল্লাহকে স্মরণ করলে আল্লাহ অনেক খুশি হন। সকল পাপ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে। পাড়া প্রতিবেশীদের খোঁজখবর নিয়ে কৌশল বিনিময় করতে হবে। তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে হবে। এই মাসে কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাত আছে। সেই রাতে পবিত্র কোরআন শরীফ। এই রাত্রে লাইলাতুল কদর বলা হয়। লাইলাতুল কদর হাজার মাসের চেয়ে উত্তম। এই রাতে কুরআন তেলাওয়াত সহ জিকির আসবার করতে হয়। রমজানের শেষের দশ দিন নাজাতের দিন। আল্লাহতালা মৃত ব্যক্তিদের জন্য জাহান্নাম থেকে থাকেন। আত্মীয় স্বজনদের জন্য দোয়া করলে আল্লাহ খুশি হন। এই সকল আমল মেনে চললে রোজা সঠিকভাবে পালন হয়।

আমরা যারা রাজশাহী বিভাগের বসবাস করি।তাদের সবারই উচিত হবেরাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫নির্দিষ্ট সময় মেনে সেহরি ও ইফতার করা করতে হবে। ঢাকা বা খুলনা বা অন্যান্য জেলা সাথে সময় মিলে ইফতার করুক তাহলে আমাদের রোজা নষ্ট হয়ে যাবে ।রমজান মাসে রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। তবে কিছু কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে। যদি কেউ অসুস্থতা বা অনিবার্য কারণে রোজা ভেঙে ফেলে তাহলে পরে ক্বদা রোজা রাখতে হবে।কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে খাওয়া-দাওয়া বা যৌনসম্পর্কের মাধ্যমে রোজা ভঙ্গ করে তাহলে তাকে ক্বদার পাশাপাশি কাফফারা আদায় করতে হবে।কাফফারা হলো—একাধারে ৬০ দিন রোজা রাখা। অথবা ৬০ জন দরিদ্রকে খাবার খাওয়ানো। এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি শাস্তিমূলক বিধান।রোজা রাখার সময় সংযম ও ধৈর্য বজায় রাখা জরুরি। বিভিন্ন কারণে রোজা ভঙ্গ হতে পারে।

• কানে বা নাকে তেল প্রবেশ করালে।
• স্বেচ্ছায় মুখ ভরে বমি করলে।
• কুলি বা নাকে পানি দেওয়ার সময় পানি গিলে খেয়ে ফেললাম।
• দাঁতে লেগে থাকা খাদ্য পুনরায় খেয়ে ফেললে।
• যে কোন প্রকার ধূমপান করলে।
• শুবেহে সাদিকের সময় সেহরি খেলে।
• সূর্যাস্তের পূর্বে ইফতার করলে।

এ মাসে রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ নিয়ম মেনে রোজা রাখলে রোজা সহি হবে ।রমজান মাস ইসলামী বছরের সবচেয়ে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ মাস।রমজান মাসের প্রথম দিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি মুসলমানদের জন্য আত্মবিশ্বাসের, ধৈর্যের এবং আত্মশুদ্ধির একটি সময় শুরু করে।এই মাসের কিছু দিন বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।প্রতিদিন রমজান মাসে সূর্যাস্তের পর প্রথম খাবার গ্রহণ করা হয় যা মুসলমানদের জন্য এক অনন্য সময়। রোজা মুসলিমদের জন্য আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের সুযোগ নিয়ে আসে।

রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোর মধ্যে কোনো এক রাতেলাইলাতুল কদর আসে। এই রাত হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও উত্তম। রমজানের শেষ শুক্রবার যা বিশেষ মর্যাদাপূর্ণ। এই দিনে জুমার নামাজ ও দোয়া কবুলের বিশেষ সুযোগ রয়েছে। ঈদের আগের দিন চাঁদ দেখার মাধ্যমে রমজানের সমাপ্তি ।দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি আনন্দের দিন।এ দিন সকালে ঈদের নামাজ আদায় করা এবং গরিব-দুঃখীদের সাহায্য করা সুন্নত।

রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ মেনে ৩০ রোজা শেষ করতে হবে ।রমজান মাসের এক মাস রোজা রাখার পর মুসলমানরা আনন্দের সাথে ঈদুল ফিতর উদযাপন করে।ঈদুল ফিতর মুসলমানদের দুটি প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর শাওয়াল মাসের প্রথম দিন উদযাপিত হয় এই উৎসব। ঈদুল ফিতর মানে হলো রোজা ভাঙার উৎসব। তাই রমজানের শেষে এই দিনটি উদযাপন করা হয়।ঈদের দিনে মুসলমানরা সকালে ঘুম থেকে উঠে নতুন পোশাক পরে ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করতে যান।সকল মুসলমানরা গোসল করে পরিষ্কার পোশাক পরিধান করে।ঈদের নামাজ আদায়ের আগে তাকবির পাঠের মাধ্যমে আল্লাহর গুণগান করা হয়।

ঈদুল ফিতরের দিনটি একটি বিশেষ নামাজ দিয়ে শুরু হয়। । ঈদুল ফিতর আমাদের জীবনে নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ ও সুখ।ঈদের আগেই সদকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করা ওয়াজিব । এটি ঈদের আনন্দ সকলের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার একটি উত্তম পদ্ধতি। ঈদের দিনে গরিব-দুঃখী, আত্মীয়-স্বজন ও প্রতিবেশীদের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করা ইসলামের শিক্ষা। সকল মুসলমানের উচিত ঈদের প্রকৃত শিক্ষা অনুসরণ করে ভালোবাসার বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।

রাজশাহী জেলার সেহেরী ও ইফতারের সময়সূচি ২০২৫ দেখে রমজান মাসটি সঠিকভাবে রোজা রাখতে পারেন। আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য রমজান মাসে ইবাদতগুলো করি আল্লাহতালা অনেক খুশি হন। এই মাসে প্রতিটি মুসলমানের উচিত বেশি বেশি ইবাদত করা এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টা করা। রমজান মাসে মুসলমানদের যা করা দরকার।রমজান মাস মুসলমানদের জন্য আত্মশুদ্ধি ইবাদত ও আধ্যাত্মিক উন্নতির সুবর্ণ সুযোগ।

রমজান মাসকে সামনে রেখে রাজশাহী এলাকায় সেহরি ও ইফতারের সময় ছিল। আমরা সঠিকভাবে ফলো করব তাহলে সঠিক সময় মেলা রমজান মাসের এবাদত করতে পারবো। রমজান মাসে ফজিলত যে এ মাসে যদি কেউ ১ টাকা দান করে ত ৭০ টাকা সমান হয়। পরিশেষে বলতে চাই ব্লক করে দিলে আপনাদের ভালো লাগে তাহলে পরবর্তীতে এরকম নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ডিলিট করুন। আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ