দ্রুত কাশি দূর করার উপায়




দ্রুত কাশি দূর করার উপায় এ একজন মানুষকে কিছু কার্যকারী নিয়ম মেনে চলতে হয়। কাশি এক খুবই সাধারণ সমস্যা ।কিন্তু যখন এটি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে ওঠে, তখন এটি অস্বস্তিকর হয়ে পড়ে। কাশি সাধারণত শ্বাসনালীর সংক্রমণ জনিত কারনে ও হতে পারে।
তবে দ্রুত কাশি দূর করার সহজ ও ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায় অনুসরণ করলে এর সমাধান আরও দ্রুত সুস্থতা সমম্ভব।কাশি রাতের বেলা অত্যন্ত বিরক্তিকর হয়ে ওঠে।তাই কিছু সহজ ও কার্যকরী উপায় নিচে আলোচনা করা হলো।

পেজ সুচিপত্রঃ দ্রুত কাশি দূর করার উপায়

দ্রুত কাশি দূর করার জন্য আদা ও মধু

 দ্রুত কাশি দূর করার উপায় এ আদা ও মধু একটি প্রাকৃতিক ও কার্যকরী উপায়।কাশি একটি সাধারণ সমস্যা তবে এটি খুব অস্বস্তিকর হতে পারে। আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এটি শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। অপরদিকে মধু তার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণের জন্য কাশি-গলা ব্যথা ও ঠান্ডার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।একটি কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ আদা কুচি ও এক চা চামচ মধু মেশান।

এটি দিনে ২-৩ বার পান করলে দ্রুত উপকার পাবেন। আদা ও মধুর এই মিশ্রণ কাশির কারণে শ্বাসনালীতে সৃষ্ট উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করে। এটি গলা শান্ত রাখে এবং সর্দি-কাশির লক্ষণগুলি সহজে ঠিক করে।আদা ও মধু মিশিয়ে একচিমটি লবণ দিয়ে গার্গলও করা যেতে পারে। যা গলার প্রদাহ কমাতে কার্যকরী। যদি কাশি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা অন্য কোনো গুরুতর সমস্যা সৃষ্টি করে। তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

গরম পানি পান করে দ্রুত কাশি দূর করার উপায়

কাশি একটি অস্বস্তিকর এবং বিরক্তিকর সমস্যা হতে পারে। অনেক সময় ঠান্ডা পরিবেশ বা ভাইরাসের কারণে কাশি হয়। তবে গরম পানি পান করলে কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। কারণ এটি শ্বাসনালীকে শিথিল করতে এবং সর্দির লক্ষণ কমাতে সাহায্য করে।গরম পানির গরগড়ে ব্যাবহারের মাধমে কাশি থেকে মুক্তি সহজ ও প্রাকৃতিক পদ্ধতি। এটি গলার প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীকে পরিষ্কার রাখে। গরম পানি পান করলে শ্বাসনালীতে জমে থাকা কফ বা মিউকাস সহজে নরম হয়ে যায় ।

কাশি কমাতে গরম পানি শ্বাসনালীতে সৃষ্ট গাঁট বা ক্ষতস্থানগুলিকে শিথিল করে। গরম পানির মধ্যে যদি আদা বা মধু মেশানো হয়।এর প্রভাব আরও বৃদ্ধি পায়। আদা ও মধু প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি যা প্রদাহ কমায়। এই মিশ্রণটি গলা ও শ্বাসনালীর জন্য সান্ত্বনাদায়ক এবং দ্রুত উপশম প্রদান করে। একটি কাপ গরম পানিতে আধা চা চামচ আদা কুচি।এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার পান করুন। এটি কফ নরম করে গলা ও শ্বাসনালীকে শান্ত রাখে এবং শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করে ।

লবঙ্গ এবং তেল দিয়ে দ্রুত কাশি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় 

দ্রুত কাশি দূর করার উপায় নিয়ে বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান কাশি থেকে মুক্তির জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে। লবঙ্গ একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক উপাদান যা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি-অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল। অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণে সমৃদ্ধ। এটি কাশি, গলা ব্যথা এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। লবঙ্গ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । ঠান্ডা, সর্দি থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে।নারকেল তেল গলায় প্রদাহ কমাতে এবং সরিষার তেল শ্বাসপ্রশ্বাসে সহায়তা করে ও কফ কমাতে সাহায্য করে। তেলের মাধ্যমে গলা ও বুক মালিশ করলে কাশি এবং সর্দির লক্ষণগুলি দ্রুত সেরে যেতে পারে।
  • একটি চামচ নারকেল তেল বা সরিষার তেল নিন এবং এতে ২-৩টি লবঙ্গ গুঁড়া করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি গলা ও বুকের ওপর মালিশ করুন। এটি শ্বাসনালী ও গলা শান্ত রাখে এবং কফ বের করে দিতে সাহায্য করে। রাতের বেলা এটি ব্যবহার করলে ঘুমের মধ্যে কাশি কমে যেতে পারে।
  • এক কাপ গরম পানিতে ২-৩টি লবঙ্গ দিন এবং কিছু সময় অপেক্ষা করুন। তারপরে মধু যোগ করে মিশিয়ে পান করুন। এটি গলা ও শ্বাসনালীকে শান্ত করে এবং কাশি কমাতে সহায়ক। লবঙ্গ চা ঠান্ডা ও সর্দি থেকেও উপশম দিতে পারে।
  • লবঙ্গ ও তেল মিশিয়ে পান করার সহজ নিয়ম হল এক কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ সরিষার তেল।১ চা চামচ মধু এবং ২-৩টি লবঙ্গ মিশিয়ে পান করুন। এটি গলা ও শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করে এবং কাশি কমাতে সহায়ক।

চা পাতা ও তেজপাতা খেয়ে কাশি থেকে মুক্তি

চা পাতা এবং তেজপাতা দ্রুত কাশি দূর করার উপায় এর মধ্যে অন্যতম ও কার্যকরী এবং প্রাকৃতিক উপায়। এই দুটি উপাদান কাশি, সর্দি, গলা ব্যথা এবং শ্বাসযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা কমাতে সহায়ক। চা পাতা পান করলে কফ নরম হয়ে বের হয়ে আসে। সবুজ চা ও কালো চা, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণে সমৃদ্ধ। চা পাতায় থাকা ক্যাটেচিন নামক উপাদান শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।গরম চা পান করা শ্বাসনালীকে আরাম দেয় এবং কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি প্রদান করে। শ্বাসনালীতে জমে থাকা কফ বা মিউকাস দূর করতে সহায়ক ফলে কাশি কমে যায়।

অপরদিকে তেজপাতা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী প্রাকৃতিক উপাদান। । তেজপাতার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ শ্বাসনালীর প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে এবং গলা ও শ্বাসনালীকে শান্ত রাখে। এটি কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট, এবং গলা ব্যথার সমস্যা দূর করতে সহায়ক। তেজপাতা কফ দূর করে এবং শ্বাসনালীর শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।এগুলি শরীরের জন্য নিরাপদ ও সহজলভ্য। কাশি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।

দ্রুত কাশি দূর করার জন্য স্টিম থেরাপি ।

স্টিম থেরাপি হল গরম বাষ্প বা স্টিম গ্রহণের একটি প্রক্রিয়া । শ্বাসনালীতে জমে থাকা কফ বা মিউকাসকে নরম করে এবং এটি বেরিয়ে আসতে সহায়তা করে। এই প্রক্রিয়া শ্বাসতন্ত্রের মধ্যে শ্লেষ্মা বা কফের কারণে সৃষ্ট ব্লকেজ কমিয়ে দেয়। বাষ্প শ্বাসনালীর প্রদাহও কমাতে সহায়তা করে। কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্টিম শ্বাসনালীকে শিথিল করে এবং মিউকাস বা কফ নরম করে। শ্বাসযন্ত্রের উপরের অংশে জমে থাকা মিউকাস পরিষ্কার করে যা গরম বাষ্প শ্বাসনালীকে পরিষ্কার। স্টিম থেরাপি একটি প্রাকৃতিক এবং নিরাপদ পদ্ধতি। কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই কাশি কমাতে সহায়তা করে। নিচে এর কিছু নিয়ম দেওয়া হলঃ
  • একটি পাত্রে গরম পানি নিন (খুব গরম না হলেও চলবে)। তারপর একটি সাদা তোয়ালে বা কাপড় দিয়ে আপনার মাথা এবং পাত্রটিকে আচ্ছাদিত করুন। বাষ্প শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করুন এবং ৫-১০ মিনিট এই স্টিম থেরাপি নিন। এটি কফ বের করতে সাহায্য করবে এবং গলা ও শ্বাসনালীকে শিথিল করবে।
  • গরম পানির মধ্যে কিছু ইথারেল অয়েল (যেমন ইউক্যালিপটাস বা পেপারমিন্ট অয়েল) বা মেন্থল তেল মিশিয়ে স্টিম নেওয়া আরও কার্যকরী হতে পারে। এই তেলগুলি শ্বাসপ্রশ্বাসকে আরামদায়ক করে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
  • গরম পানির শাওয়ারও স্টিম থেরাপির মতো কাজ করতে পারে। শাওয়ারের গরম পানি শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে সহায়তা করে এবং কফ ও শ্লেষ্মা বের করে দেয়।

দ্রুত কাশি দূর করার জন্য আদা, লেবু ও গরম পানি

আদা, লেবু এবং গরম পানি দ্রুত কাশি দূর করার উপায়  জন্য  কার্যকরী  ও সহজ উপায়। এই উপাদানগুলি কাশি কমাতে, শ্বাসনালী পরিষ্কার করতে এবং প্রদাহ কমাতে সহায়ক।আদা প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান।লেবু একটি প্রাকৃতিক ভিটামিন সি উৎস। শরীরের প্রদাহ কমাতে, ব্যথা উপশম করতে, কাশি ও সর্দি থেকে মুক্তি পেতে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। তাই আদা নিয়মিতভাবে খাদ্যাভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করলে স্বাস্থ্য ভালো থাকে।যা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
এটি গলা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালীর প্রদাহ কমায়। লেবুর এসিডিক গুণ কফ বা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করে সর্দি-কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি দিতে সহায়তা করে। গরম পানি কাশি ও গলা ব্যথা থেকে দ্রুত আরাম দেয়। গরম পানির মাধ্যমে শরীরে প্রবাহিত বাষ্প শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে তোলে।এক কাপ গরম পানিতে ১ চামচ আদা গুঁড়া বা তাজা আদা কুচি, ১ চামচ লেবুর রস এবং ১ চামচ মধু যোগ করে মিশিয়ে পান করুন। আদা গলা শিথিল করবে, লেবু কফ পরিষ্কার করবে, এবং মধু গলা ও শ্বাসনালীকে সান্ত্বনা দেবে। এই মিশ্রণটি দিনে ২-৩ বার পান করলে দ্রুত কাশি থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

বাষ্প গ্রহণে মাধ্যমে কাশি দূর

দ্রুত কাশি দূর করার জন্য বাষ্প গ্রহণ হল গরম পানির বাষ্প শ্বাসের মাধ্যমে শ্বাসনালী ও গলায় প্রবাহিত করা। এটি শ্বাসনালীকে শিথিল করে কফ বা শ্লেষ্মা নরম করে । বাষ্প গ্রহণ শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহ কমাতে, গলা ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে এবং শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখতে সহায়ক। এই পদ্ধতিটিতে প্রাকৃতিক কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট এবং গলা ব্যথা থেকে দ্রুত আরাম দেয়।একটি পাত্রে গরম পানি নিয়ে সেটিকে টেবিলের ওপর স্থাপন করুন। এবার, একটি তোয়ালে দিয়ে মাথা এবং পাত্রটিকে ঢেকে রাখুন। যেন বাষ্প বের না হয়ে যায়। গরম বাষ্প কিছু সময় শ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করুন। এতে শ্বাসনালী পরিষ্কার হবে এবং কাশি কমবে।

গরম পানিতে কয়েক ফোটা ইউক্যালিপটাস, পেপারমিন্ট বা ল্যাভেন্ডার অয়েল যোগ করতে পারেন। এই তেলগুলি শ্বাসনালী শিথিল করতে এবং কফ বা শ্লেষ্মা পরিষ্কার করতে সহায়তা করে। অয়েলগুলো বাষ্পে মিশে গিয়ে শ্বাসপ্রশ্বাসকে সহজ করে।যদি স্টিম ইনহেলেশনের পদ্ধতি গ্রহণ করা সম্ভব না হয়। গরম শাওয়ারও একটি কার্যকরী উপায় হতে পারে। গরম পানির শাওয়ারের বাষ্প শ্বাসনালীকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে এবং কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি দেয়।বাষ্প গ্রহণ একটি প্রাকৃতিক, নিরাপদ এবং কার্যকরী পদ্ধতি। কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে নিয়মিত ভাবে বাষ্প গ্রহণ করলে কাশি কমে আসতে পারে এবং শ্বাসপ্রশ্বাস আরও সহজ হয়।

সর্দি-কাশির সমস্যায় সঠিক পুষ্টি ঘরোয়া খাবার

সঠিক পুষ্টি কাশি কমাতে এবং শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ, জিঙ্ক, প্রোটিন এবং হাইড্রেশন কাশি থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে সহায়ক। খাবারে এই পুষ্টি উপাদানগুলি অন্তর্ভুক্ত করলে কাশি দ্রুত উপশম হতে পারে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়।কিছু খাবার কাশি কমাতে সাহায্য করতে পারে। আবার কিছু খাবার কাশি বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই কাশি হলে কি খাওয়া উচিত আর কি খাওয়া উচিত নয় তা জানা দরকার। নিচে পুষ্টিকর খাবার এর কিছু সঠিক তথ্য দেওয়া হলঃ
  • গরম তরল যেমন স্যুপ, চা, এবং মধু মেশানো পানি কাশি কমাতে সাহায্য করে। এগুলো গলাকে আরাম দেয় এবং শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে।
  • মধুতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশি কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে।
  • আদার মধ্যে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশি কমাতে এবং গলা ব্যথা উপশম করতে সাহায্য করে। আপনি আদা চা খেতে পারেন বা আদার ছোট টুকরা চিবিয়ে খেতে পারেন।
  • রসুনে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিভাইরাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশি কমাতে সাহায্য করে। আপনি রসুন কুচি করে স্যুপ বা তরকারিতে যোগ করতে পারেন।
  • পেঁয়াজে অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি কাশি কমাতে সাহায্য করে। আপনি পেঁয়াজ কুচি করে সালাদে যোগ করতে পারেন বা পেঁয়াজের রস খেতে পারেন।
  • ফল এবং সবজিতে প্রচুর ভিটামিন এবং মিনারেল থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং কাশি কমাতে সাহায্য করে।
  • প্রোটিন শরীরের টিস্যু মেরামত করতে সাহায্য করে। এটি কাশি থেকে দ্রুত সেরে উঠতে সাহায্য করে। আপনি ডিম, মাছ, মাংস, এবং বাদাম থেকে প্রোটিন পেতে পারেন।

কাশির সমাধানে পর্যাপ্ত বিশ্রাম

দ্রুত কাশি দূর করার উপায় হিসাবে পর্যাপ্ত বিশ্রামের গুরুত্ব অপরসিম ।এই সমস্যা সাধারণত ঠান্ডা, ভাইরাস সংক্রমণ, অ্যালার্জি বা অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের সংক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।সর্দি-কাশির সময় শরীরের প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত জরুরি। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য শরীরের শক্তি প্রয়োজন হয়।বিশ্রাম নেওয়া শরীরকে সঠিকভাবে কাজ করার জন্য প্রস্তুত করে।শরীর বিশ্রামে থাকে, তখন এটি তার শক্তি সঞ্চয় করে এবং দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে।এখানে কিছু বিষয় আলোচনা করা হলো:
  • পর্যাপ্ত ঘুম: যখন আপনার শরীর ভাইরাসের সাথে লড়াই করে, তখন তার পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। প্রতিদিন রাতে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
  • হালকা ব্যায়াম: হালকা ব্যায়াম যেমন ইয়োগা বা ধ্যান করলে শরীর শিথিল থাকে এবং মানসিক চাপ কমে। তবে অতিরিক্ত পরিশ্রম করা উচিত নয়।
  • বিশ্রাম: দিনের বেলাতেও কিছু সময় বিশ্রাম করুন। এতে শরীরকে দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।
  • পর্যাপ্ত জল পান: সর্দি-কাশির সময় শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুব জরুরি। প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন।
  • পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ: ভিটামিন ও খনিজ সমৃদ্ধ খাবার খান। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
  • গরম পানীয়: গরম চা বা স্যুপ খেলে গলা ব্যথা কমে এবং আরাম পাওয়া যায়।
  • ঘরোয়া চিকিৎসা: সর্দি-কাশির উপশমের জন্য আপনি মধু, আদা, বা তুলসী পাতার রস ব্যবহার করতে পারেন।
  • ডাক্তারের পরামর্শ: যদি আপনার সর্দি-কাশি বেশিদিন ধরে থাকে অথবা তীব্র হয়, তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

শেষে কথাঃ

দ্রুত কাশি দূর করার উপায়না জানলে মানুষ অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। শরীরের একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। তবে দীর্ঘস্থায়ী বা ক্রনিক কাশি বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। কাশি সাধারণত ঠান্ডা, ফল, শ্বাসকষ্ট বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের লক্ষণ হিসেবে স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করতে পারে।দীর্ঘস্থায়ী কাশি অনেক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তাই কাশি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়ে যায় বা এটি অন্য কোনো রোগের লক্ষণ হিসেবে প্রকাশ পায়। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কাশি যদি সহজে নিয়ন্ত্রণে না আসে। সঙ্গে সঙ্গে সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করা জরুরি। যাতে এর অপকারিতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায় এবং সুস্থ জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।

এ সময়টায় যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান করতে হবে।কুসুম গরম পানি হলে বেশি ভালো। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বাইরে বাতাসে অযথা ঘুরাঘুরি না করে সাবধানে ঘরে থাকাই ভালো।শুকনো কাশি বিশেষ করে অত্যন্ত খিটখিটে এবং কষ্টকর হতে পারে। এই ধরনের কাশি সাধারণত গলা বা শ্বাসনালির শুষ্কতা বা সাইটের কারণে হয়।শ্লেষ্মার কোনো উত্পাদন ঘটে না। শুকনো কাশি তীব্র এবং প্রায়ই দীর্ঘস্থায়ী হয়, যা রোগীর জন্য খুবই অস্বস্তিকর হতে পারে।কাশি দূর করার জন্য বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে । সমস্যা যদি দীর্ঘস্থায়ী হয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। উপরোক্ত পদ্ধতিগুলি কাশি দ্রুত কমাতে সহায়ক হতে পারে । তবে দীর্ঘমেয়াদী সমাধানের জন্য পেশাদার চিকিৎসা নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ।এই রকম নতুন নতুন আর্টিকেল পরতে আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে থাকুন। ধন্যবাদ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফল্য 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন-প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url