২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে নবজাতকের অনেক সমস্যা হয়ে থাকে। বিশেষ করে শীতকালে বা আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় এ সমস্যা শিশুদের হয়।বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এটি নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে শিশুর অস্বস্তি কমাতে এবং জটিলতা এড়াতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।
শিশুর সর্দি,শ্বাসকষ্ট, অন্যান্য সমস্যা নিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলে শিশু দ্রুত সুস্থ হতে পারে।শিশুর বয়সের কারণে এটি দ্রুত সংক্রমণে পরিণত হতে পারে। আর এই অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে আমাদের আর্টিকেলগুলো মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।

পেজ সুচিপত্রঃ ২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়

শিশুর সর্দির লক্ষণ

 ২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় সাধারণত লক্ষণগুলি অনেকটা বড়দের সর্দির মতোই হয়। তাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল থাকায় এটি দ্রুত গুরুতর হতে পারে। সাধারণত নাক দিয়ে পানি পড়া বা গলগলানি দেখা দেয়। শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হতে পারে। যা তাদের স্বাভাবিক খাওয়া বা ঘুমাতে সমস্যা সৃষ্টি করে। সর্দির ফলে শিশুর গলায় খুসখুস কাশি হতে পারে ।শিশুর সর্দির অন্যান্য লক্ষণগুলো হতে পারে জ্বর, খাবারে অস্বীকার, দুর্বলতা বা অতিরিক্ত কান্না। সর্দির সাথে যদি শ্বাসপ্রশ্বাসে তীব্র সমস্যা বা গাঢ় রঙের কফ দেখা দেয়।

শিশুর যদি তাপমাত্রা ১০০.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার বেশি হয়। তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।শিশু যদি ঘুমানোর সময় বেশি অস্থির থাকে বা তার স্বাভাবিক আচরণে পরিবর্তন দেখা দেয় তা সর্দির লক্ষণ হতে পারে। সর্দি হলেই শিশুর স্বাস্থ্যের অবস্থা নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। খুব ছোট বয়সে ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে যা সঠিক চিকিৎসা না হলে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস পর্যবেক্ষণ করুন

শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস পর্যবেক্ষণে পিতা মাতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কারণ এটি তাদের স্বাস্থ্যের একটি মৌলিক সূচক। শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি প্রাপ্তবয়স্কদের থেকে অনেক দ্রুত হয়, এবং তাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের কোনও অস্বাভাবিকতা সহজেই তাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে কিছু ইঙ্গিত দিতে পারে।সাধারণভাবে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি প্রতি মিনিটে ৩০-৬০ বার হতে পারে । তবে এটি বয়স অনুসারে ভিন্ন হতে পারে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো সমস্যা থাকলে, যেমন শ্বাসতন্ত্রে কোনো বাধা বা শ্বাসকষ্ট তা তাড়াতাড়ি শনাক্ত করা জরুরি।

শিশুর শ্বাসে কোনও উঁচু বা গম্ভীর শব্দ শোনা-শ্বাস নিতে অসুবিধা হওয়া বা দ্রুত শ্বাস নেওয়া প্রমাণ করতে পারে যে কিছু সমস্যা রয়েছে। শিশুর বুকের সাথে পেটের ওঠানামা পর্যবেক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাস প্রশ্বাসে পরিবর্তন, যেমন অতিরিক্ত গলা শ্বাস বা শরীরের অতিরিক্ত চাপ, এইসব পরিস্থিতিতে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সঠিক চিকিৎসা এবং দ্রুত পদক্ষেপের মাধ্যমে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।তাই আমাদের সবারি উচিত হবে ডাক্তাররে পরামর্শে চিকিৎসা নেওয়া ।

স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার করুন 

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়  শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে । এই ক্ষেত্রে স্যালাইন ড্রপ ব্যবহার একটি সাধারণ এবং নিরাপদ পদ্ধতি। যা শিশুর সর্দির সমস্যা সহজেই মোকাবেলা করতে সাহায্য করতে পারে। স্যালাইন ড্রপ ন্যাচারাল সোডিয়াম ক্লোরাইড সমন্বিত হয়ে  শিশুর নাকের মধ্যে জমে থাকা শ্লেষ্মা নরম করে এবং সহজে বের করে দেয়। ২ মাসের শিশুর জন্য স্যালাইন ড্রপ ব্যবহারের আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

শিশুর নাকের মধ্যে ১-২ ফোঁটা স্যালাইন ড্রপ দিন এবং কিছু সময় অপেক্ষা করুন। একটি নাকের শোষক ব্যবহার করে শ্লেষ্মাটি বের করে নিন।স্যালাইন ড্রপ ব্যবহারের সময় শিশুর ত্বকে কোনও অস্বস্তি বা অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবহার বন্ধ করুন । পেডিয়াট্রিশিয়ানের সাথে পরামর্শ করুন। শিশুর সর্দি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা যদি তাপমাত্রা বেড়ে যায়।তখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক যত্ন এবং সময়মত চিকিৎসা শিশুর আরামদায়ক সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। 

আর্দ্রতা বজায় রাখুন

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় আর্দ্রতা বজায় রাখা শিশুর আরামদায়ক অবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের পথ খোলা রাখতে আর্দ্রতা একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে।বিশেষ করে শীতল বা শুষ্ক পরিবেশে। সর্দির ফলে শিশুর নাকে শ্লেষ্মা জমে যেতে পারে, যা শ্বাসে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে আর্দ্রতা বাড়ানো শিশুর শ্বাসতন্ত্রের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।একটি হিউমিডিফায়ার বা আর্দ্রতা বাড়ানোর জন্য শিশুর ঘরে হালকা আর্দ্রতা বজায় রাখতে হবে।

ঘরের আর্দ্রতা ৫০-৬০% রাখার চেষ্টা করুন। যা শিশুর নাকের শ্লেষ্মাকে নরম করতে সহায়ক। এছাড়া শিশুকে স্নান করানোর সময় উষ্ণ পানি ব্যবহার করলে তা শ্বাসযন্ত্রে আরাম দিতে পারে এবং শ্লেষ্মা বের করতে সাহায্য করতে পারে। শিশুর সর্দি যখন বেশি বিরক্তিকর হয়ে ওঠে তখন পর্যাপ্ত পানি পান করানোও গুরুত্বপূর্ণ। তবে এ ক্ষেত্রে ডাক্তারি পরামর্শ নেওয়া উচিত। যদি শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা বাড়ে বা তাপমাত্রা বেড়ে যায়।তবে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সঠিক আর্দ্রতা বজায় রেখে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা সমাধান করা সম্ভব।

শিশুকে পর্যাপ্ত পানি ও তরল পান করান

২ মাসের শিশুদের সর্দি হলে তাদের সঠিক যত্ন নেওয়া এবং পর্যাপ্ত পানি ও তরল প্রদান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্দির সময় শিশুর শরীরে পানি ও তরলের অভাব হতে পারে। যা তাদের স্বাভাবিক শারীরিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলতে পারে। পানির অভাব শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাস আরও কঠিন করতে পারে। শ্লেষ্মা জমে যেতে পারে, যা শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে।এই বয়সে শিশুকে সাধারণত বিশেষ ধরনের দুধ বা বুকের দুধ দেওয়া হয়।তাই তাদের সঠিক পরিমাণে তরল সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

বুকের দুধ শিশুর শরীরে প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং সর্দির ফলে জমে থাকা শ্লেষ্মা দূর করতে সহায়ক। যদি শিশুকে ফর্মুলা দুধ দেওয়া হয়, তবে এটি একইভাবে তরল সরবরাহ করে, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি বা শিশুর উপযুক্ত তরল গ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ।শিশুর খাওয়ার পরিমাণ কমে গেলে বা তারা খেতে না চাইলে, তাদের ছোট ছোট সময়ে এবং আরও বেশি পরিমাণে দুধ দেওয়া উচিত। সর্দি দীর্ঘস্থায়ী হলে বা শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

শিশুকে আরামদায়ক রাখুন

শিশুর আরামদায়ক রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ সর্দির ফলে শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে এবং তারা অসুবিধা অনুভব করতে পারে। শিশুকে আরামদায়ক রাখতে কিছু সহজ পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে। প্রথমত, শিশুকে উত্তপ্ত এবং সুরক্ষিত পরিবেশে রাখা উচিত, কারণ ঠাণ্ডা বা শুষ্ক পরিবেশ শ্বাসতন্ত্রের জন্য আরো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। ঘরের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে, যা শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসকে সহজ করবে।

শিশুর শোয়ার সময় তাদের মাথা কিছুটা উঁচু করে রাখলে, নাকের শ্লেষ্মা বের হতে সহজ হবে এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা কমবে। শিশুকে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ বা ফর্মুলা দুধ দেওয়া উচিত এটি তাদের শরীরের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে । তাদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।যদি শিশুর শ্বাসকষ্ট বাড়ে বা তাদের তাপমাত্রা বেড়ে যায়, তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সঠিক যত্ন ও আরামদায়ক পরিবেশে শিশুর সর্দির সমস্যা দ্রুত কমে যাবে, এবং তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে। ২ মাসের শিশুর সর্দি থেকে দূরে থাকার উপাই হল শিশুকে সবসময় আরামদায়ক রাখতে হবে।

স্বাভাবিক আচরণ দেখানো

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় তাদের স্বাভাবিক আচরণ এর ওপর প্রভাব পড়ে। শিশুর সর্দি সাধারণত কিছুদিনের মধ্যে সেরে যায়, তবে এটি তাদের স্বাভাবিক কার্যকলাপ এবং আচরণে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে। সর্দি হওয়া সত্ত্বেও শিশুকে স্বাভাবিক আচরণ প্রদর্শনের জন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।শিশুকে শান্ত এবং আরামদায়ক পরিবেশে রাখা উচিত। যাতে তারা সর্দির ফলে অসুবিধা অনুভব না করে। শিশুর খাওয়া কমে গেলে, তাদের প্রতি সময়ে দুধ দেওয়া উচিত এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণে তরল সরবরাহ নিশ্চিত করা উচিত।

শিশুর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে, তাদের সঠিকভাবে ঠাণ্ডা বা গরম রাখা উচিত। অতিরিক্ত গরম বা ঠাণ্ডা থেকে বিরত থাকতে হবে।শিশুর সর্দি কিছুটা অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে, তাদের স্বাভাবিক আচরণ বজায় রাখার চেষ্টা করা গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা সাধারণত কিছুটা বিরক্ত হতে পারে, তবে তাদের প্রচুর বিশ্রাম, সঠিক যত্ন এবং পর্যাপ্ত আরাম দিলে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। যদি সর্দি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে গুরুতর সমস্যা দেখা দেয়। তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয়  নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নবজাতক এবং ছোট শিশুদের জন্য সর্দি, ঠান্ডা বা শ্বাসকষ্টের সমস্যা গুরুতর হতে পারে।তাদের শরীর এখনও পুরোপুরি উন্নত হয়নি এবং তাদের ইমিউন সিস্টেমও দুর্বল। সর্দি হলেই শিশুর স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া বা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। ২ মাস বয়সী শিশুর শ্বাসপ্রশ্বাসে কোনো সমস্যা বা খাবার খেতে অসুবিধা হলে সেটি অতি দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানো উচিত।
শিশুর সর্দি, কাশি, অথবা গলাব্যথা থাকলে তাতে কোন ধরনের চিকিৎসা দেওয়া উচিত।কোন লক্ষণগুলোকে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন। তা চিকিৎসকই সর্বোত্তমভাবে নির্দেশ দিতে পারেন।শিশুর সর্দি তাড়াতাড়ি সুস্থ করার জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার।পর্যাপ্ত পানি পান করানো- ঘরটি পরিষ্কার রাখা। কোনো শক্ত ওষুধ প্রয়োগ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। ছোট শিশুর জন্য কখনোই স্বাভাবিক সর্দির লক্ষণকে অবহেলা করা উচিত নয়। তাই নিয়মিত ডাক্তারি পরামর্শ শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে সহায়ক।

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিশুদের শরীর এখনও পূর্ণ শক্তি অর্জন করেনি এবং তাদের ইমিউন সিস্টেমও দুর্বল থাকে। যা তাদের সহজে সংক্রমণের শিকার হতে পারে। সর্দি বা শ্বাসকষ্টের সমস্যায় তাদের স্বাস্থ্য আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে।তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা তাদের সুরক্ষার জন্য অপরিহার্য।শিশুর আশেপাশের পরিবেশ সর্বদা পরিষ্কার রাখা উচিত। শিশুর ঘর নিয়মিতভাবে পরিষ্কার করা, এবং বালিশ, কম্বল, তোশক ইত্যাদি ভালোভাবে ধোয়া নিশ্চিত করা উচিত। শিশুর যত্ন নেওয়ার সময় হাত নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।

শিশুদের কাছে আসার আগে এবং পরে হাত ধোয়া- তাদের ব্যবহার করা বস্তু বা খেলনা পরিষ্কার রাখা। শ্বাসতন্ত্রের মাধ্যমে ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ছড়ানোর সম্ভাবনা কমাতে ঘরের বাতাস পরিষ্কার রাখতে হবে।শিশুর সর্দি হওয়া সত্ত্বেও তাকে ঠান্ডা থেকে রক্ষা করতে হবে।অতিরিক্ত আর্দ্রতা বা ময়লা থেকে দূরে রাখতে হবে। সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রেখে শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করা সম্ভব। যা তাদের দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ নিশ্চিত করে না। বরং সর্দি ও অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

শিশুর প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় তার প্রতি বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত জরুরি। শিশুর শরীর এখনও উন্নয়নশীল এবং তার ইমিউন সিস্টেম যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। যা তাকে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ থেকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে। সর্দি হলে শিশুর শ্বাসকষ্ট বা খাবার খেতে সমস্যা হতে পারে। যা গুরুতর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তাই শিশুর প্রতি সতর্কতা অবলম্বন করা আবশ্যক।শিশুর শরীরের তাপমাত্রা নিয়মিতভাবে মাপা উচিত। যদি তাপমাত্রা বেশি থাকে তবে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

শিশুর ঘর পরিষ্কার ও শীতল রাখার পাশাপাশি তার বস্ত্রও আরামদায়ক সঠিকভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করা উচিত। শিশুর শ্বাস-প্রশ্বাসে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে তা অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।শিশুর ব্যবহৃত খেলনা বা অন্যান্য বস্তু নিয়মিত পরিষ্কার রাখা প্রয়োজন।কারণ তারা সহজে জীবাণুর পরিবহণ করতে পারে। সাবধানতার সঙ্গে শিশুতে যে কোনো ধরনের শক্ত ওষুধ প্রয়োগ না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ডাক্তারি পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। শিশুর সর্দি হওয়া সত্ত্বেও তার সুস্থতা নিশ্চিত করতে এই সতর্কতাগুলি অনুসরণ করা জরুরি।

শেষ কথা

২ মাসের শিশুর সর্দি হলে করণীয় ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া অন্য কোনো চিকিৎসা পদ্ধতি অবলম্বন করবেন না।কখনোই নিজে থেকে কোনো ওষুধ ব্যবহার করবেন না।শিশুর নাক পরিষ্কার করার সময় খুব সাবধানে কাজ করুন।যাতে কোনো আঘাত না লাগে।ছোট বয়সে শিশুদের ইমিউন সিস্টেম এখনও পূর্ণরূপে বিকশিত হয়নি। ফলে তারা সহজেই বিভিন্ন ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। সর্দি, কাশি, বা শ্বাসকষ্ট সাধারণ সমস্যা হলেও এটি গুরুতরও হতে পারে।

শিশুর সর্দি সাধারণত নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে শ্বাসকষ্ট সৃষ্টি করে।তার খাওয়া এবং ঘুমের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।শিশুর সর্দির পাশাপাশি যদি জ্বর, অতিরিক্ত কান্না, বা খাবার খেতে অস্বীকার করে।তখন গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে। শ্বাসকষ্ট বা গাঢ় কফ, শ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়া বা তীব্র জ্বর থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। শিশুর ত্বকে র‍্যাশ, পেটের সমস্যা বা দুর্বলতা দেখা দিলে তা অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি।অন্তত ২ মাস বয়সী শিশুর জন্য নিয়মিত পরামর্শ সঠিক পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা দরকার। পরিবেশ শীতল ও পরিচ্ছন্ন রাখা শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

সাফল্য 24 নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন-প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়

comment url